প্রতিষ্ঠানের ইতিহাস

বিদ্যালয় সমাজের প্রতিচ্ছবি। মানব শিশুর সুপ্ত প্রতিভা বিকাশে অফুরন্ত সম্ভাবনার জাগরণ অনাবিল শস্য ভান্ডার, মধুময় তিতাস পারে গড়ে ওঠে ড্যাফোডিল কিন্ডারগার্টেন। অত্র প্রতিষ্ঠানটি অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে মৌলিক চাহিদা সম্পন্ন গতিশীল, তথ্যপ্রযুক্তি, মানসম্মত যুগোপযোগী অত্যাধুনিক ও মানানসই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নিতান্তই প্রয়োজন। পিছিয়ে পড়া জনবহুল এলাকায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অপ্রতুল। দুর্গম এলাকায় যোগাযোগ অবকাঠামো, মননশীলতার ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গের অনুপস্থিতির কারণে মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠে নাই। শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড ও আলোকবর্তিক। জাতি ও সমাজকে গতিশীল ও অগ্রগামী করতে মানসম্মত শিক্ষার কোন বিকল্প নেই সেই চাহিদা পূরণ করতে দেশ ও সমাজের শিক্ষার কল্যাণে প্রতিষ্ঠা লাভ করে ড্যাফোডিল কিন্ডারগার্টেন ২০০৮ খ্রিস্টাব্দে। প্রতিষ্ঠার স্থান হিসেবে জায়গা নিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন বাংলাদেশ বেতারের কর্মচারী, রাধানগর গ্রামের চৌধুরী পাড়ার মরহুম মুরাদ আলম তার বাড়ির পশ্চিমে আঙিনায় পতিত অংশে দুটি টিনশেড ঘর ও প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র ও শিক্ষা সরঞ্জাম নিয়ে যাত্রা শুরু হয়। এলাকার অভিভাবকমহল, সাধারণ মানুষের কৌতহল ও আগ্রহ নিয়ে সহযোগিতার গণজাগরণ হয়। আশানুরূপ শিক্ষার্থী ভর্তি হয় এবং শিক্ষা কার্যক্রম পুরোদমে পরিচালিত হয়। এবং আর পিছনে তাকাতে হয়নি। এমনকি উত্তরোত্তর শ্রেণি বর্ধিতকরণ অবকাঠামো প্রসারণ, শিক্ষক সংখ্যা বৃদ্ধি করুন এবং জায়গা সংকুলান না হওয়াই বিদ্যালয়ে স্থানান্তর করে রাধানগর হতে চরগোসাইপুর মঠের নিকট মরহুম বিল্লাল মিয়া (বিল্লাল ডাক্তার)'র পতিত বাড়িতে স্থানান্তরিত হয়। বিদ্যালয়ের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেই নিজের জায়গা দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করেন। প্রতিষ্ঠাকালীন শিক্ষকবৃন্দ হলেন 
১। ডালিয়া নাছরীন- বি.এ, প্রিন্সিপাল 
(০১/০১/২০০৮ খ্রি. হইতে ১৮/০৯/২০১০খ্রি. পর্যন্ত)
২। মো: আলকাছ মিয়া- বি.এ, সহকারী শিক্ষক 
(ভারপ্রাপ্ত প্রিন্সিপাল ১৯/০৯/২০১০ খ্রি. হইতে ৩১/১২/২০১৩ পর্যন্ত)
৩। মোস্তাফিজুর রহমান- সহকারী শিক্ষক 
(০১/০১/২০০৮ খ্রি. হইতে কর্মরত রয়েছেন) 
৪। সোমা রাণী- সহকারী শিক্ষক 
(০১/০১/২০০৮ খ্রি. হইতে ১৮/০৯/২০২২খ্রি. পর্যন্ত)
৫। স্বর্গীয় গীতা রাণী সূত্রধর- সহকারী শিক্ষক 
(০১/০১/২০০৮ খ্রি. হইতে ১৫/০৪/২০২১খ্রি. পর্যন্ত)
৬। মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম- প্রধান শিক্ষক 
(০১/০১/২০১৩ খ্রি. হইতে কর্মরত রয়েছেন) 
এছাড়াও অত্র এলাকার কলেজ পড়ুয়া বহু ছাত্র-ছাত্রী খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে চাকুরী করেছেন ও প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে যেতে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করছেন। 

মনোরম পরিবেশে শিক্ষাদান, অভিভাবক, শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সমন্বয়; শিক্ষার্থীদের বয়স, সামর্থ্য, ঝোঁক অনুযায়ী, আনন্দময় পাঠদান, নিরাময় ব্যবস্থা, শ্রেণী কক্ষে শিক্ষকদের নিরলস পাঠদান, সর্বাত্মক আগ্রহ ও আন্তরিকতায় প্রতিষ্ঠানের অগ্রগতি ও শিক্ষার্থীদের সংখ্যা দিন দিন বৃদ্ধি পায়। ক্রমে ক্রমে প্রাথমিক থেকে মাধ্যমিকের রূপান্তরের জন্য শিক্ষার্থী, অভিভাবক, শিক্ষক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ইচ্ছা পোষণ করেন। সর্বজন সহযোগিতা ও অংশীজনের আন্তরিকতায় আজকের মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের রূপান্তর হয়। বিদ্যালয়ে ক্যাচমেন্ট এলাকা হলো চরগোসাইপুর দক্ষিণ ও উত্তর অংশ, রাধানগর, গোসাইপুর, মেরাতলী, মনিপুর, রাজাপুর ও ভৈরবনগর। বর্তমান যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় অত্র অঞ্চলের অভিভাবক মহলসহ সকলের যোগাযোগ ব্যবস্থা সুবিধা নিশ্চিত হয়। বর্তমান বিদ্যালয়টির নাম ড্যাফোডিল স্কুল, চরগোসাইপুর, নবীনগর, ব্রাহ্মণবাড়িয়া। ইহা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সর্বসাধারণ ও সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের ও সরকারি নির্দেশনায় পরিচালিত হয়। অংশীজন শিক্ষক মহোদয়ের নিরলস পরিশ্রম, প্রচেষ্টায় শিক্ষার্থীর যাবতীয় চাহিদা, অবকাঠামে পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হয়। অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের এগিয়ে নিতে শিক্ষক মহোদয় শ্রম, পরামর্শ ও সহযোগিতা দিয়ে থাকেন। এই মসৃণ অবস্থানে আসতে বহু প্রতিকূলতা সম্মুখীন হতে হয়েছে কিন্তু নির্বিঘ্নে বাধা অতিক্রম করে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সাথে পাল্লা দিয়ে ড্যাফোডিল স্কুল এগিয়ে যাচ্ছে। 
জৈবিক শিশুকে পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসেবে গড়তে শিক্ষক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। চাহিদার সাথে সঙ্গতি রেখে মননশীলতা, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, ডিজিটালাইজেশন ও অত্যাধুনিকতায় ধারাবাহিকভাবে সমন্বয় করে বিশ্বের অপরাপরের সাথে অভিযোজন করতে পারবে বলে বিশ্বাস। শিক্ষার্থীর শিক্ষার মানদন্ড হিসেবে ড্যাফোডিল স্কুল ক্ষুদ্র সহায়তা করতে পারে। এলাকা জুড়ে শিক্ষার্থীদের ক্ষুদ্র প্রয়াস সকলের জন্য উন্মুক্ত রয়েছে। কতিপয় শিক্ষার্থী দেশসেরা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয়ে মেধার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে এবং সুযোগ পেলে তারা তাদের সহযোগিতা ও পরামর্শ সকলের সাথে শেয়ার করে কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। এলাকার সকলের সার্বিক সহযোগিতায় ড্যাফোডিল স্কুল স্থায়িত্ব লাভ করবে এবং অত্র এলাকাকে শিক্ষা-দীক্ষা, সমাজ সচেতনতায় ও সার্বিক কল্যাণে দুর্নাম গুছিয়ে সুনামের পথে এগিয়ে রাখবে এই আমাদের প্রত্যাশা।

মোহাম্মদ রুকন উদ্দীন- এম এ, বি এড
প্রতিষ্ঠাকালীন উপদেষ্টা